পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায়
২ কোটি মানুষের ব্রেন স্ট্রোক হয়। মানুষকে সচেতন করতে ২৯ অক্টবর দিনটিকে সারা বিশ্ব
স্ট্রোক দিবস হিসবে পালন করা হয়। চিকিৎসকরা বলেন, স্ট্রোকের পরবর্তী চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোগীকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনাটাই বড়ো চ্যালেঞ্জ।
স্ট্রোক কয় ধরনের হয় ? ইস্কিমিক ও হেমারেজিক
এই দুই ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ইস্কিমিক স্ট্রোক রক্ত চলাচল থেমে যায়। কিন্তু হেমারেজিক
স্ট্রোকে দুর্বল রক্তনালী ছিড়ে যাওয়ায় রক্তপাত হয়। এছাড়াও ট্রান্সিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাকে
কোন ছোট রক্তের ডেলা সাময়িকভাবে মস্তিস্কের রক্তবাহী ধমনীতে আটকে যাওয়ায় কিছুক্ষণের
জন্য রোগীর ব্ল্যাক আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড়ো রিস্ক ফ্যাক্টর হাই
ব্লাড প্রেশার। প্রেশার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে যাদের বেশির
ভাগ সময় বসে কাজ করতে হয়, দৈনিক পরিশ্রম কম হয় তাদের রিস্ক বেশি। এর জন্য অনিয়ন্ত্রিত
জীবনযাত্রাও দায়ী। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়ে। এছাড়া অতিরিক্ত
মশলাদার ফাস্টফুড বেশি পরিমাণে খাওয়া, মানসিক চাপ, হতাশা, মদ্যপান, ধূমপান, হার্ট সংক্রান্ত
অসুখ ইত্যাদি স্ট্রোকের রিস্ক ফ্যাক্টার হিসাবে কাজ করে।
স্ট্রোক থেকে বাঁচতে প্রথমেই এই সমস্ত রিস্ক
ফ্যাক্টার গুলি থেকে দূরে থাকতে হবে। এর পরের ধাপ গুলি হল, প্রতিদিন শরীর চর্চা করা,
রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমানো ও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, মন মেজাজ ঠিক রাখতে গান শুনা, বই
পাড়া ও নতুন কিছু শিক্ষার মধ্যে ডুবে থাকা আর মন খুলে হাসা। কথাই বলে, হাসি বিষ হরি
– মন খুলে হাসুন, প্রাণ খুলে বাঁচুন সমস্ত প্রেশার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। এর থেকে
বড় মেডিসিন বাজারে আর দ্বিতীয় নেই।